বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের বাঘারপাড়ায় টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের পুরাতন টিন বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন তৈরির কারণে পুরাতন ভবনের টিন গোপনে টেন্ডার ছাড়াই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে সবার অগোচরে প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রায় ৩৩ মণের মতো টিন বিক্রি করেছেন। ভ্যানে টিন নেয়ার সময় তা স্থানীয়দের চোখে ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এক বাসিন্দা বলেন, ‘যে টিন বিক্রি করা হয়েছে তা প্রায় ৩৩ মণ হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভাংগাড়ি ব্যবসায়ী জানান, বিক্রি করা পুরাতন ওই টিনের দাম প্রায় লাখ টাকা।
ভাংঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী মাসুদ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আমার কাছে ১ হাজার ২শ’ ৮৬ কেজি টিন বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি টিন ৪০ টাকা দরে আমি কিনেছি।
এ ব্যাপারে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে কল করলে মুখ খোলেননি তিনি। সাক্ষাতে কথা হবে বলে জানিয়ে এ প্রতিবেদকের ফোন কেটে দেন প্রধান শিক্ষক।
টিন বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল করিম। টেন্ডারের বিষয়টি পরিস্কার জানাতে না পারলেও তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কি একটা দরখাস্ত দিয়ে এসেছেন। পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন ভাংগাড়ি ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে টিন বিক্রি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘শুনেছি মিরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন টিন পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে টিন বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই।’ প্রসঙ্গত এর আগেও ২১ সালের জানুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে ৪৭ কেজি ওজনের স্লিপার ( শিশুদের লোহার খেলার কাঠামো ) চুরি করে বিক্রি করেন এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।